জরুরি নোটিশ ২০২৪ইং এস.এস.সি রেজাল্ট-২০২৪

Home

kljমোঃ আব্দুর রাফিউল আলম(অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) সভাপতি

মোঃ আব্দুর রাফিউল আলম

(অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) সভাপতি

সভাপতি মহোদয়ের বাণী

একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রথম সোপান হলো শিক্ষার্থী। সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করছে পারে না। সুশিক্ষার মাধ্যমে তৈরি হয় সৎ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক। সুশিক্ষা ছাড়া মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম, মানবতা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ রূপে গড়ার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সকলকেই যৌতুক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো ইত্যাদি সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে সদা সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। 'সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সবাই একযোগে কাজ করে এ প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

দুলাল চন্দ্র সাহা

অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাণী

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ,

আমাদের স্কুল এন্ড কলেজ এখন একটি নতুন দিনের আগামীতে যাচ্ছে, এবং আমরা এখানে একটি নতুন দিনের স্থাপনা নির্মাণ করছি - একটি ডিজিটাল ও স্মার্ট ক্যাম্পাস। আমরা একটি এককীকৃত ও তথ্যপ্রযুক্তির প্রযুক্ত প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চলেছি যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রযুক্তির সাথে সাথে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।

আমাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আধুনিক ও প্রযুক্তিপর্যাপ্ত শিক্ষা পরিবেশ প্রদান করা, যা তাদের জীবনের প্রাধান্যতা এবং পেশাদান সাফল্যে সাহায্য করবে। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রযুক্তির পরিধি আরও বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি, যাতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি সহজেই যোগাযোগ সাধন করতে পারে।

আমরা একটি নিষ্ঠাবান শিক্ষা সম্প্রদায় তৈরি করতে চাই, যেখানে আপনি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা অবলম্বন করতে পারবেন, এবং আমরা সম্পূর্ণ প্রযুক্তিপর্যাপ্ত পরিবেশ প্রদান করতে সক্ষম থাকতে পারব।

অত্যন্ত গর্বিত এবং সমৃদ্ধিপূর্ণ পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সবার প্রতি আভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমদের এই পথে সাথে থাকার জন্য আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আশা করি।

প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম । কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল ও কলেজ এর ওয়েব সাইটে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ । সৃষ্টির রূপ অবয়ব পরিবর্তন পৃথিবীর চিরন্তন রীতি। ১৮৬৬ সালে পর্তুগীজদের পরিত্যাক্ত নীলকুঠিতে Òব্রাক্ষ স্কুল” হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানটি আত্মপ্রকাশ করেছিল, আজ ১৫৭ বছরের পথ পরিক্রমায় সেই প্রতিষ্ঠানটি কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল ও কলেজ হিসেবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল । প্রথমেই আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কিশোরী লাল রায় চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, প্রতিষ্ঠানটিকে যিনি নবরূপে রূপায়িত করেছেন, স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকে ভূষিত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানকে । বহু বন্ধুর পথ অতিক্রমের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আমাকে গভার্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন । আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী । বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আর Giving and Receiving এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । গোটাবিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থা এখন Learning বা সমন্বিত শিক্ষণের উপর নির্ভরশীল । ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং গভার্নিং বডির সমন্বিত সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের স্বর্ণদ্বারে পৌছে দেওয়া সম্ভব। আমার এ লক্ষ্য ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আপনারা আমার সহযাত্রী হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি । আপনার, আমার-সবার প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানের হৃত সম্মান ফিরিয়ে আনা সম্ভব । আবার, এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিশ্বসভায় মাথা উচুঁ করে বলবে, I am proud to be a jubilian আবার, এ প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হবে – ড. মেঘনাথ সাহা, ড. দীনেশ চন্দ্র সেন, ড. নবগোপাল দাস, ব্রজেন দাস এর মতো বরেণ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। নিয়ম-শৃঙ্খলা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে আপন গতিতে । প্রাতিষ্ঠানিক সব তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ডিজিটাইজ্ড করা হয়েছে। আইসিটি ল্যাব স্থাপন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।প্রযুক্তির এ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি প্রযুক্তি নির্ভরতার দিকে।আমাদের লক্ষ্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে আইসিটি জ্ঞান ও কম্পিউটার চালনায় দক্ষ করে তোলা যাতে অর্জিত শিক্ষা ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যায়। আশা করি,আপনারা সবাই হবেন আমাদের সুহৃদ সাথী। গভার্নিং বডির সদস্য প্রিয় শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাই চন্দ্র দত্ত, মোঃ মামুন-আর-রশিদ , ছালমা বেগম, মোঃ মোশাররফ হোসেন, রাজু আহমেদ, পনির সাহা, ফজলে রাব্বি রহমান, খায়ের উদ্দিন আহমেদ, সানজিদা তানজিন, দাতা প্রতিনিধি রেজাউর রহমান সিনহা, শিক্ষানুরাগী সদস্য জাহিদ হাসান এবং সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ ………………. কে সাথে নিয়ে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর । হয়তো সেদিন দূরে নয়, যেদিন কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল ও কলেজ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে । আমি বিশ্বাস করি, কবি গোলাম মোস্তফার অমর বাণী, ”বিশ্বসভায় আবার মোরা নতুন করে আসন লব আবার মোরা এই জীবনে পুণ্যে-জ্ঞানে ধন্য হব ।” সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

Follow us on Facebook

School Event

Days
Hours
Minutes
Seconds

অনলাইন ক্লাস সমূহ

স্মার্ট ক্যাম্পাস উদ্বোধন